ইসলাম ডেস্ক || ভয়েজ অফ জাস্টিস

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, “আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে চান হেদায়াত দান করেন।” (সুরা মুদ্দাসসির, আয়াত: ৩১)
এখান থেকে বোঝা যায়, আল্লাহ চাইলে সবাইকে সরলপথে রাখতে পারতেন। তবে দুনিয়া যেহেতু পরীক্ষা ও বাছাইয়ের জায়গা, তাই কাউকে জোর করে হেদায়াত দেওয়া হয়নি। বরং মানুষকে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে—সে চাইলে আল্লাহর পথে চলবে, চাইলে বিরত থাকবে।
আল্লাহর পথে আগ্রহ দেখানো, প্রচেষ্টা চালানো এবং সৎকর্মে অটল থাকার মধ্য দিয়েই হেদায়াতের দ্বার উন্মুক্ত হয়। কোরআনে ইরশাদ হয়েছে—
“আর যারা আমার পথে জিহাদ করে তথা সর্বাত্মক চেষ্টা চালায়, তাদেরকে আমি অবশ্যই আমার পথে পরিচালিত করব। নিশ্চয়ই আল্লাহ সৎকর্মশীলদের সাথেই আছেন।” (সুরা আনকাবুত, আয়াত: ৬৯)
অর্থাৎ, যে আন্তরিকভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করে, আল্লাহ তার সামনে সঠিক পথ খুলে দেন। তিনি প্রতিটি ধাপে জানিয়ে দেন, কোন পথে চললে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জিত হবে। তবে এর জন্য মানুষের পক্ষ থেকেও চেষ্টা ও আন্তরিকতা জরুরি।
কোরআনে আরও বলা হয়েছে—
“আর যারা সৎপথে চলে, আল্লাহ তাদের হেদায়াত বৃদ্ধি করে দেন। আর স্থায়ী সৎকর্মসমূহ আপনার রবের কাছে পুরস্কারের দিক থেকে শ্রেষ্ঠ এবং পরিণতির দিক থেকেও উত্তম।” (সুরা মারইয়াম, আয়াত: ৭৬)
অতএব, মানুষ নিজের আন্তরিকতা ও সৎকর্মের মাধ্যমে হেদায়াতের পথে অগ্রসর হয়, আর আল্লাহ তার হেদায়াতকে আরও দৃঢ় ও স্থায়ী করে দেন।

