ইসলাম ডেস্ক || ভয়েজ অফ জাস্টিস

ইসলামে ঋণ নেওয়া বা দেওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ন্যায়সংগত ও দায়িত্বশীল আচরণ ছাড়া ঋণ নেওয়া কিংবা দিতে নিষেধ। কুরআন ও হাদিসে ঋণ সম্পর্কিত অনেক নির্দেশনা রয়েছে যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে।
১. ঋণ গ্রহণের সতর্কতা
কোনো প্রয়োজন ছাড়া ঋণ নেওয়া উত্তম নয়। অতিরিক্ত ঋণ গ্রহণ মানুষকে আর্থিক ও মানসিক চাপের মধ্যে ফেলে দিতে পারে। তাই ইসলামে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন ও দায়িত্বশীল হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২. সময়মতো ঋণ পরিশোধের গুরুত্ব
কুরআন ও হাদিসে সময়মতো ঋণ পরিশোধকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন:
“যে ব্যক্তি ঋণগ্রস্ত হয়, তাকে দ্রুত পরিশোধ করতে হবে, যাতে ঋণগ্রহীতা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।”
৩. শর্ত এবং সুদের বিষয়
ইসলামে সুদ গ্রহণ বা প্রদানের কঠোরভাবে নিষেধ। ঋণ প্রক্রিয়ায় কোনো অনৈতিক শর্ত বা অতিরিক্ত চাপ দেওয়া ঠিক নয়।
৪. ঈমান ও নৈতিক দায়িত্ব
ঋণ পরিশোধ কেবল অর্থের বিষয় নয়, এটি ঈমান ও নৈতিকতারও প্রতিফলন। ঋণপরিশোধে দেরি বা অবহেলা মানুষকে অন্যের ক্ষতির দিকে পরিচালিত করে, যা ইসলামের নৈতিকতার পরিপন্থী।
৫. সামাজিক ও মানবিক দিক
ঋণগ্রহীতা যদি কোনো কারণে ঋণ পরিশোধ করতে না পারে, তবে ধারদাতার ধৈর্য ও সহমর্মিতা দেখানোও ইসলামে উৎসাহিত। এটি সমাজে ভালোবাসা, সৌহার্দ্য ও পারস্পরিক বিশ্বাস বৃদ্ধি করে।
উপসংহার:
ইসলামে ঋণ নেওয়া, দেওয়া এবং সময়মতো পরিশোধ করা সকলকেই নৈতিক ও দায়িত্বশীল হতে শেখায়। ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে সতর্কতা, সততা ও মানবিক মূল্যবোধ অনুসরণ করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আবশ্যক।

