ডেস্ক রিপোর্টার || ভয়েজ অফ জাস্টিস

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে ‘শেষ সতর্কবার্তা’ দেওয়ার পর গাজায় যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাব নিয়ে এগোচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও প্রস্তাবের বিস্তারিত তিনি প্রকাশ করেননি, তবু ইঙ্গিত দিয়েছেন—হামাস তা না মানলে গাজার যুদ্ধ আরও ভয়াবহ আকার নিতে পারে। ইতিমধ্যে ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৬৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, পাশাপাশি চলছে দুর্ভিক্ষ।
যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা হলেও ইসরায়েল প্রায়ই তা প্রত্যাখ্যান করেছে বা নীরব থেকেছে। এর মধ্যেই ট্রাম্প দাবি করছেন, তাঁর প্রস্তাব ভিন্ন ও ইতিবাচক ফল আনতে পারে।
প্রস্তাবে কী আছে?
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, ট্রাম্পের পরিকল্পনা বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের আগের প্রস্তাবের হালনাগাদ সংস্করণ। এতে শুরুতেই সব ইসরায়েলি জিম্মি মুক্ত করার শর্ত রাখা হয়েছে। এর বিনিময়ে অজ্ঞাতসংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দী মুক্তি দিতে পারে ইসরায়েল। তবে যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ হবে না, কেবল পরবর্তী আলোচনার পথ খোলা থাকবে। বিশ্লেষকদের মতে, এ সুযোগে ইসরায়েল হামলা চালিয়ে যাওয়ার যুক্তি ধরে রাখতে পারবে।
হামাস ও ইসরায়েলের অবস্থান
হামাস জানিয়েছে, জনগণের ওপর আগ্রাসন বন্ধে সহায়ক যেকোনো উদ্যোগ তারা স্বাগত জানাবে। তবে তাদের শর্ত—যুদ্ধ বন্ধের নিশ্চয়তা ও গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার। অপরদিকে ইসরায়েলি নেতৃত্ব বলছে, সব জিম্মি মুক্তি ও হামাসের আত্মসমর্পণ ছাড়া তারা যুদ্ধ থামাবে না।
কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ
আগেও এ ধরনের প্রস্তাব বারবার ভেস্তে গেছে। সমালোচকদের মতে, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু যুদ্ধ থামানোর কোনো ইচ্ছাই রাখেন না, বরং তিনি চাইছেন হামাসকে একগুঁয়ে প্রমাণ করে সংঘাত দীর্ঘায়িত করতে। ট্রাম্পও এখনো ইসরায়েলকে যুদ্ধ থামাতে বাধ্য করার মতো অবস্থান নেননি।
এরপর কী?
বিশ্লেষকেরা বলছেন, নিকট ভবিষ্যতে গাজায় রক্তপাত থামার সম্ভাবনা ক্ষীণ। এরই মধ্যে চিকিৎসা সংকটে হাজারো মানুষ ভুগছেন, শিশুরা অনাহারে মারা যাচ্ছে, আর ইসরায়েলি বাহিনী অবকাঠামোগুলো লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করছে।
ট্রাম্প দাবি করছেন, শিগগিরই ‘ভালো সমাধান’ আসবে। কিন্তু বাস্তবতা বলছে—এই প্রস্তাবও হয়তো গাজায় আগ্রাসন থামাতে পারবে না।

