স্পোর্টস ডেস্ক || ভয়েজ অফ জাস্টিস

শারজাহতে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে পাকিস্তান ১৪২ রানের লক্ষ্য দিয়েও ৭৫ রানের বড় জয় তুলে নেয় আফগানিস্তানের বিপক্ষে। মোহাম্মদ নেওয়াজ, সুফিয়ান মুকিম ও আবরার আহমেদের ঘূর্ণি জাদুতে আফগান ব্যাটিং লাইনআপ ৬৬ রানে অলআউট হয়—যা টি-টোয়েন্টিতে তাদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন সংগ্রহ।
স্পিনেই জয়
সিম সহায়ক উইকেটেও পাকিস্তান এক পেসার নিয়ে খেলেছিল। শাহিন শাহ আফ্রিদি প্রথম ওভারেই গুরবাজকে ফেরান। তবে অধিনায়ক আগা সালমান এরপর তাঁকে দিয়ে আর মাত্র একটি ওভার করান। বাকিটা সময় দুই প্রান্ত থেকে স্পিনারদের দিয়েই বল করানো হয়। ফলও আসে হাতে–নাতে।
ক্ষুব্ধ থেকে অনুতপ্ত আকরাম
এমন সিদ্ধান্ত দেখে কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম প্রথমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এক্সে (টুইটার) লিখেন, “সিমিং উইকেটে কেন খণ্ডকালীন বোলারদের দিয়ে বল করানো হচ্ছে? ১৪০ রান রক্ষা করতে গিয়ে এসব কী!”
কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই পাকিস্তানি স্পিনাররা উইকেটের পর উইকেট নিতে শুরু করলে তাঁর মত পাল্টে যায়। মাত্র ১২ মিনিট পর আকরাম আরেকটি পোস্ট দিয়ে আগের মন্তব্য ফিরিয়ে নেন— “বিতর্ক এখানেই শেষ, স্পিনাররা দুর্দান্ত করেছে।”
ভক্তদের প্রতিক্রিয়া
আকরামের ইউ–টার্ন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। কেউ মজা করেন, কেউ আবার আগের পোস্ট মুছে ফেলার অনুরোধ জানান।
নেওয়াজের অলরাউন্ড শো
আফগানিস্তানের ১০ উইকেটের ৯টিই তুলে নেন পাকিস্তানের স্পিনাররা। হ্যাটট্রিকসহ ৫ উইকেট নেন মোহাম্মদ নেওয়াজ, খরচ করেন মাত্র ১৯ রান। আবরার আহমেদ ও সুফিয়ান মুকিম নেন দুটি করে উইকেট। সাইম আইয়ুব উইকেট না পেলেও ৩ ওভারে দেন মাত্র ১০ রান।
বল হাতে সাফল্যের আগে ব্যাটিংয়েও অবদান রাখেন নেওয়াজ। ৭২ রানে ৫ উইকেট হারানো অবস্থায় তাঁর ২১ বলে ২৫ রানের ইনিংস পাকিস্তানকে নিয়ে যায় ১৪০-এর ওপরে।
পুরো টুর্নামেন্টে ৫ ম্যাচে ১০ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতে ১২০ রান করেন তিনি, গড় ৩০ ও স্ট্রাইক রেট ১৩৩.৩৩। শেষ পর্যন্ত ফাইনালের সেরা ও সিরিজসেরা—দুটো পুরস্কারই উঠেছে নেওয়াজের হাতে।

