ডেস্ক রিপোর্টার || ভয়েজ অফ জাস্টিস

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রাশিয়ার ড্রোন হামলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শনিবার গভীর রাতে এ হামলার সময় বিস্ফোরণ ও ধোঁয়ার দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেছে বিবিসি।
প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া স্ভিরিদেঙ্কো নিশ্চিত করেছেন, এই প্রথমবার সরাসরি মন্ত্রিসভার ভবনকে লক্ষ্যবস্তু করা হলো। তিনি জানান, ভবনের ছাদ ও উপরের তলাগুলো মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, শত্রুপক্ষ প্রতিদিনই ইউক্রেনের জনগণকে আতঙ্কিত করার চেষ্টা করছে।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, সর্বশেষ হামলায় রাশিয়া রেকর্ডসংখ্যক ৮০০–এর বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এর মধ্যে ৯টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ৫৬টি ড্রোন ৩৭টি স্থানে সরাসরি আঘাত হানে, আর ভূপাতিত ধ্বংসাবশেষ পড়ে আরও আটটি স্থানে ক্ষয়ক্ষতি হয়।
কিয়েভের কেন্দ্রে এ ধরনের হামলা বিরল, কারণ এলাকাটিতে শক্তিশালী বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে। তবে এবার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর ব্যাপক চাপ তৈরি হওয়ায় তা দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শহরের অন্যান্য এলাকায়ও একাধিক বহুতল ভবনে হামলা হয়েছে। এতে ভবনের অংশবিশেষ ধসে পড়ে দুইজন নিহত হন—এদের একজন শিশু। আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।
এছাড়া প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নিজ শহর ক্রিভি রিহেও রুশ হামলা হয়েছে। সেখানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চললেও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সতর্ক করে দিয়েছেন—যদি যুদ্ধবিরতির পর পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠায়, তবে রাশিয়া তা মেনে নেবে না।

