বিনোদন ডেস্ক || ভয়েজ অফ জাস্টিস

কয়েক দিন আগে রাজস্থানের ভরতপুরে তাদের নামে একটি প্রতারণা মামলার এফআইআর দায়ের করা হয়— অভিযোগ ছিল, নামী এক গাড়ি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের পণ্য হিসেবে শাহরুখ খান ও দীপিকা পাড়ুকোনের দু’জনকেই ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে দেখিয়ে বিক্রি হওয়া গাড়িটিতে প্রযুক্তিগত ত্রুটি রয়েছে। এতে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন দাবি করা এক গ্রাহক। ওই এফআইআরে অভিযুক্তের তালিকায় দুই তারকার পাশাপাশি আরও ছয়জনের নাম ছিল।
তবে এখন আদালতের এক আদেশে আপাতত ওই মামলার কার্যক্রমে শিথিলতা এসেছে—শাহরুখ ও দীপিকার পক্ষে তাদের আইনজীবীরাও রাজস্থান হাইকোর্টে এফআইআরটি বাতিলের আবেদন করেন এবং আদালত তাদের অনুরোধে অন্তর্বর্তী (ইন্টারিম) স্থগিতাদেশ জারি করেছেন। এর ফলে তদন্ত বা অভিযোগের কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে আপাতত দুই তারকার বিরুদ্ধে মামলা কার্যকরী থাকবে না।
শাহরুখ খানের আইনজীবী কপিল সিব্বল আগ থেকেই বলছেন, অভিনেতার সরাসরি কোনো কর্তৃত্ব বা ভূমিকা ছিল না; কেবল ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে তারা সীমিত ভূমিকা পালন করেছেন, সেই কারণে পণ্যের ত্রুটির দায় তাদের ওপর আরোপ করা উচিত নয়—এ ধারনাই আদালতে উপস্থাপন করা হয়। দীপিকার পক্ষে আইনজীবী মাধব মিত্রও একই যুক্তি দিয়েছেন—প্রোডাক্ট মান বা তার তত্ত্বাবধানে তার কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।
অভিযোগকারীর পক্ষ বলেছে, গাড়িতে ত্রুটি থাকার কারণে তিনি বড় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন এবং সেলিব্রিটিরা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ভোক্তাদের বিভ্রান্ত করেছেন। তবে প্রতিরক্ষাদল উল্লেখ করেছে, ওই ব্যক্তি প্রায় তিন বছর ধরে গাড়িটি ব্যবহার করছেন এবং অভিযোগ দায়েরের আগে গাড়িটি ৬৭ হাজার কিমিরও বেশি চালিয়েছেন—এই বাস্তবতার কারণে মামলা ত্বরান্বিত করার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
মামলাটি বর্তমানে তল্লাশি ও আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে; আদালত যে অন্তর্বর্তী নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তা চূড়ান্ত রায়ে পরিণত হলে পরবর্তী শুনানিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আপাতত শাহরুখ-দীপিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ স্থায়ী হওয়ার পূর্বে আদালती নিষেধাজ্ঞার কারণে তাদের অংশগ্রহণ বা তদন্তে অব্যাহত প্রক্রিয়ায় সীমাবদ্ধতা থাকবে।

