খুলনা অফিস || ভয়েজ অফ জাস্টিস

অন্তবর্তী সরকার আমলে দ্বিতীয় বাজেট দিলো খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি)। বৃহস্পতিবার নগর ভবনের শহীদ আলতাফ মিলনায়তনে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ও কেসিসির প্রশাসক মো: ফিরোজ সরকার ২০১৫-২৬ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণা করেন।
এবার ৭১৯ কোটি ৫০ লাখ ৩৬ হাজার টাকার বাজেটের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যেই অধিকাংশ অর্থ দাতা সংস্থার উপর নির্ভরশীল। গত অর্থ বছরের সংশোধিত বাজেট দাঁড়িয়েছে ৬শ’ ১৮ কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯৮১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। গত চার বছরে নতুন কোনো প্রকল্প না থাকা আর পুরাতন প্রকল্পগুলোও চলতি বছর শেষ হওয়ার পথে থাকায় এবার বাজেটের আকার ছোট।
বাজেট ঘোষণায় প্রশাসক মো: ফিরোজ সরকার জানান, এবারও কেসিসির বাজেটে নতুন কোন করারোপ করা হয়নি।
এক বছরের ব্যবধানে বাজেটে উন্নয়ন বরাদ্দ কমেছে প্রায় ২৬০ কোটি টাকা। তবে নতুন করে বড় একটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। কেসিসি তিনটি বিভাগকে গুরুত্ব দিয়ে এবার প্রস্তাবিত বাজেট তৈরি করেছে। বিভাগগুলো হলো-কনজারভেন্সি বিভাগ, ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়ন ও স্বাস্থ্য বিভাগ।
কেসিসির হিসাব শাখা সূত্রে প্রকাশ, কর্পোরেশনের নিজস্ব আয় দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা এবং দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। উন্নয়ন কাজের পুরোটাই আসে প্রকল্পের অনুকূলে সরকারি বরাদ্দ এবং দাতা সংস্থার অনুদান থেকে। ফলে নতুন কোনো প্রকল্প অনুমোদন না হলে উন্নয়ন কাজে বরাদ্দ পাওয়া যাবে না।
সরকারি প্রকল্প কমে যাওয়ায় অর্থ বরাদ্দও কমছে। এ জন্য বাজেটের আকার ছোট হচ্ছে। চলতি বছরের বাজেট হবে বাস্তবভিত্তিক।
বাজেট ঘোষণাকালে চব্বিশের শহীদ শেখ মোঃ সাকিব রায়হানের পিতা-মাতা, সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মনিরুজ্জামান মনি, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শরীফ আসিফ রহমান, বাজেট অফিসার মোঃ মনিরুজ্জামান, চীফ প্লানিং অফিসার (চলতি দায়িত্বে) আবির উল জব্বার, বাজেট কাম অ্যাকাউন্ট অফিসার মোঃ মনিরুজ্জামান, প্রধান রাজস্ব অফিসার রহিমা সুলতানা বুশরা, জুলাই যোদ্ধাগণ ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারগণ উপস্থিত ছিলেন।

