খুলনা অফিস || ভয়েজ অফ জাস্টিস

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, রাষ্ট্রে ইসলামী শাসন চালু থাকলে অমুসলিম সম্প্রদায় সবচেয়ে বেশি নিরাপদে থাকে। খোলাফায়ে রাশেদার ইতিহাস পড়লে জানা যায়, মুসলিম শাসনামলে অমুসলিমরা কতটা নিরাপদ ও শান্তিতে বসবাস করেছে। তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে সময় এসেছে আলেম-উলামাদের নির্বাচিত করে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, শাসন ক্ষমতা আলেম-উলামাদের হাতে এলে আল্লাহর ওয়াদা অনুযায়ী জনগন নিরাপদে, সুখে শান্তিতে থাকবে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে খুলনার বয়রায় মোস্তর মোড়ে মৎস্য অবতরণ ও বিপণন কেন্দ্রের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক এমপি মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, দক্ষিণ অঞ্চলের সাদা সোনা খ্যাত গলদা চিংড়ি চাষ বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে। তাই চিংড়ি চাষ আধুনিকীকরণ ও সময়োপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য সব ধরণের সহযোগিতা চালিয়ে যাব। সুদ মুক্ত ব্যাংক ঋণ, চিংড়ি চাষীদের জন্য সহজ ও নির্বিঘ্নে চিংড়ি রেণু সরবরাহ, চিংড়ি রেণু পরিবহনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অযাচিত হস্তক্ষেপ না করা, সহজলভ্যভাবে চাষীদের চিংড়ি সময়মত ও সুষ্ঠুভাবে অবতরণ এবং রঢতানি প্রক্রিয়াজাতকরণে সঠিক ও মাননিয়ন্ত্রণ করে আন্তর্জাতিক বাজারে দেশের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে কোন মধ্যস্বত্বভোগী বা মুনাফাখোর যেন চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
হরিণটানা থানা জামায়াতে ইসলামীর আমীর আব্দুল গফুরের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, খুলনা উত্তর জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. ইউসুফ ফকির, খানজাহান আলী থানা আমীর ডা. সৈয়দ হাসান মাহমুদ টিটো, ডুমুরিয়া উপজেলা নায়েবে আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান, সরকারি বিএল কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি এডভোকেট শেখ জাকিরুল ইসলাম, গুটুদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ তুহিন হোসেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী দেবাশিস মন্ডল, শেখ হেদায়েত হোসেন লিখন, নিত্যানন্দ রায়, যুতুষ্টি মন্ডল প্রমুখ।
সেক্রেটারি জেনারেল আরও বলেন, এই অঞ্চলের মানুষের জন্য বিল আশির্বাদ না হয়ে এখন অভিশাপে পরিণত হয়েছে। ভারি বর্ষণে বিল ডাকাতিয়াসহ এ অঞ্চলের প্রায় ১৪টি বিল তলিয়ে যায়। ফলে কৃষকরা তাদের ফসল উৎপাদন করতে না পেরে অর্ধাহারে অনাহারে দিনাতিপাত করে। বিগত সময়ে আপনাদের প্রতিনিধি হিসেবে বিলের পানি নিষ্কাশনে কালিতলা, লতার বিল, শোলমারিসহ বিভিন্ন স্লুইসগেটের আগে পরে ড্রেজিং করিয়ে পানি প্রবাহ ঠিক রেখেছিলাম। কিন্তু গত সতের বছরে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন খালে বিলে পাটা দিয়ে, সরকারি খালের জমি লিজ নিয়ে ঘেরের নামে দখল করে, নদী ও খাল সঠিক সময়ে ড্রেজিং না করায়, পানি প্রবাহ ঠিকমত না হওয়ায় অল্প বৃষ্টিতে বিল এখন তলিয়ে যায়। ফলে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষেরা তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে দূর্বিসহ জীবন যাপন করছে।
প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগ করে সমস্যাটির সমাধানে তার অন্তরিক তৎপরতার বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে আপনারা যদি আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন আর আমার দল যদি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসে তাহলে বিল ডাকাতিয়াসহ এই অঞ্চলের সকল বিলের জলাবদ্ধতা দূর করাই হবে আমার প্রধানতম কাজ।

