খুলনা অফিস || মিডিয়া জার্নাল
পাট ব্যবসায়ী ও পাট উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন, বিজেএমসির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কবির উদ্দিন সিকদার ও পাট সচিব আব্দুর রউফকে অপসারণ করে বিচারের আওতায় আনাসহ সাত দফা দাবি বাস্তবায়নের আহবান জানিয়েছে পাটকল ও শিল্পাঞ্চল পুনরুদ্ধার কমিটি। সংগঠনটির পক্ষ থেকে বুধবার বেলা ১২টায় খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
তাদের অন্যান্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে অবিলম্বে ফ্যাসিস্ট হাসিনার প্রজ্ঞাপন ও লিজপ্রথা বাতিল সহ রাষ্ট্রায়ত্ত সকল পাটকল চালু, প্রহসন মূলক টেন্ডারের নামে পাটকলের মূল্যবান যন্ত্রাংশ পাচার ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসের পায়তারা বন্ধ, খালিশপুর, দৌলতপুর, জাতীয়, কেএফডি, আরআর জুটমিল সহ ২৬টি পাটকল বন্ধের পর থেকে আজ পর্যন্ত সকল পাওনা, বকেয়া বেতন ও ভাতাদি অবিলম্বে প্রদান, পূর্বের পাটকল রক্ষা আন্দোলনের প্রত্যেক শহীদ পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ এবং নেতাদের নামে সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, সকল বেসরকারী পাটকল শ্রমিকের নূন্যতম হাজিরা ৫৬০ টাকা করা এবং পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন ২০১০ অবিলম্বে বাস্তবায়ন।
লিখিত বক্তব্যে পাটকল ও শিল্পাঞ্চল পুনরুদ্ধার কমিটির সংগঠক শামস শারফিন সামন বলেন, একজন ব্যাক্তিমালিকানাধীন পাটকলের মালিককে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বানিয়ে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট তৈরির যে বিপদ- তাকে তোয়াক্কা না করেই বেপরোয়াভাবে চলছে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়। এমনকি দুর্নীতির সর্বজনগৃহীন সংজ্ঞাকেও তোয়াক্কা করছেন না পাট উপদেষ্টা শেখ বশির। তিনি সরকারী পাটকলগুলির অনেক বড় অংশ নিজের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের আওতায় নিয়ে নিচ্ছেন সরাসরি নিজের ক্ষমতা ব্যবহার করে। এই অপরাধের বিচারের প্রয়োজনে অবিলম্বে পাট ব্যবসায়ী পাট উপদেষ্টাকে অপসারণ করে বিচারের মুখোমুখী করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়- বেসরকারী মালিকানাধীন পাটকলগুলির শ্রমিকগণ অত্যন্ত দুর্বিসহ জীবন যাপন করছেন। মাত্র ২৬০ টাকা দিনমজুরির বিনিময়ে এই কারখানাগুলোতে কাজ করা শ্রমিকদের পক্ষে তিনবেলা আহার করে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে দিনগুজরান করা অসম্ভব। রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে বেসরকারী পাটকলের মালিকরা অনায়াসে এহেন অন্যায় করে পার পেয়ে যাচ্ছেন। অবিলম্বে এই অমানবিক মজুরি বঞ্চনার অবসান ঘটিয়ে ন্যূনতম মজুরি ৫৬০ টাকা করতে হবে।
এ দাবিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে লিফলেট বিতরণ ও মিলগেট সভা করে দাবি বাস্তবায়ন আন্দোলন বেগবান করা হবে বলে জানানো হয়। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সংগঠক জাকির হোসেন, আলমগীর হোসেনসহ বিভিন্ন জুট মিলের শ্রমিকরা।





















